সাইফা-অন্তরের প্রেম সাত-আট মাসের। সুযোগ পেলেই দেখা করতেন দুজনে। মাঝে মধ্যে রাতও কাটাতেন। একদিন রাতে প্রেমিকার ভাড়া বাসায় ঢোকেন প্রেমিক। তবে দেখে ফেলেন বৃদ্ধা বাড়িওয়ালি মিনারা বেগম। আর দেখে ফেলাই কাল হলো তার।
প্রেমের সম্পর্ক জানাজানির ভয়ে মিনারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সাইফা-অন্তর। তবু ক্ষান্ত হননি তারা; হত্যার পর প্রেমিকের পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে কাটা হয় বাড়িওয়ালির গলা। কাটের হাত-পায়ের রগও। তবে লাশ রেখে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন সাইফা। আর অন্তর পালিয়ে যান।
গা শিউরে ওঠার মতো এমনই ভয়ংকর বর্ণনা দিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী সাইফা। রোববার কুমিল্লার আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। একই সঙ্গে কুমিল্লার তিতাসের ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের ৩৭ দিনের মাথায় রহস্য উঘাটন করে ডিবি পুলিশ।
সাইফা তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের শিপন সরকারের মেয়ে। তিনি এবার এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করেন। আর অন্তরের বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার গোপচর গ্রামে।
জবানবন্দিতে সাইফা জানান, ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য জানালা দিয়ে ঢোকেন প্রেমিক অন্তর। তবে ঢোকার সময় দেখে ফেলেন বাড়ির মালিক মিনারা। প্রেমের সম্পর্ক বাইরে প্রকাশ হওয়ার ভয়ে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে মিনারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন প্রেমিক-প্রেমিকা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে তার গলা কাটেন অন্তর। একই সঙ্গে হাত-পায়ের রগ কেটে দেন।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে সাত-আট মাস আগে অন্তরের সঙ্গে সাইফার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রায়ই তারা দেখা করতেন। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে সাইফাদের নতুন ভবনের কাজ চলায় দূর সম্পর্কের আত্মীয় মিনারার বাড়িতে ওঠেন তারা। এখানে ছোট দুই ভাই নিয়ে থাকতেন তিনি। সেই সুবাদে প্রেমিকার ভাড়া বাসায়ও আসতেন অন্তর।